বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আমার দেহ আমার সিদ্ধান্ত একটা উগ্র ব্যক্তিতান্ত্রিক চিন্তা-ফরহাদ মজহার মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে ১০০ একর জায়গা উদ্ধার র‌্যাব সদস্যদের অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঢাকায় চলবে ইলেকট্রিক বাস!ব্যয় হবে ৫০০ কোটি টাকা স্ত্রী সন্তানের পর মারা গেলেন দগ্ধ তোফাজ্জল মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না-ডিসি মাসুদ আলম কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় কন্ঠশিল্পী নোবেল গ্রেফতার ঢাকা অচলের হুঁশিয়ার দিলেন ইশরাক সমর্থক টঙ্গীতে প্রতিবন্ধীর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা, আটক বাড়ির মালিক দিনাজপুরে ডিএনসি-র অভিযানে ১০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক-১

ইছাপুরা-পাতিরা ব্রীজের কাজ আগামী ১৫ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার আশ্বাস

এস এম নাহিদ / ৪৪ সময়
আপডেট: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

বালুনদীর উপর নির্মিত ইছাপুরা-পাতিরা ব্রিজের নির্মাণ কাজ আগামী ১৫ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রমিনেন্ট, কাশেম পিপি এলজে নামীয় সেতুটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক গিয়াস উদ্দীন আহম্মদ।

১৯শে এপ্রিল (শনিবার) বনানীতে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।

অনুসন্ধানে জানা যায়,রুপগঞ্জের ইছাপুরায় বালুনদীর ওপর ৩২০ মিটার দৈর্ঘ্য পিএসসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে এলজিইডি ৩৮ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয় এবং২০১৮ সালের ১৩ জুলাই নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।২০২১ সালের ১২ফেব্রুয়ারি নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দীর্ঘ এই ৮বছরে শেষ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ।নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি কেন শেষ করতে পারেননি? এমন প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক গিয়াস উদ্দিন নদীর প্রশস্ততাকে দায়ী করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, নদীর দুইপাশে মাটির লোডিং ধারণ ক্ষমতা দুই রকমের যেটা আমরা আগে বুঝতে পারিনি। পিলার কিংবা স্পেন বসাতে যেয়ে আমরা এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। তবে আগামী ১৫ মাসের মধ্যে আমরা ব্রীজের সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।তবে এই ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠনের অদক্ষতা ও দুর্নীতিকে দায়ী করছেন বালু নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা।

এদিকে ব্রীজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এলাকাবাসীর পারাপারের সুবিধার্থে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফ্রি খেয়া-পারাপারের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও পারাপারের জন্য নিয়মিত টাকা দিতে হয় জনসাধারণের। পারাপারে কেন এই অনিয়ম? জানতে চাইলে গিয়াসউদ্দিন বলেন, জনসাধারণের পারাপারের জন্য ফ্রি-তে আমরা ইঞ্জিনচালিত নৌকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।নৌকার যাবতীয় খরচ এবং মাঝিদের বেতন আমরা প্রতি মাসেই দিয়ে থাকি।তাই পারাপারের জন্য জনগণের কাছ থেকে কোন ধরনের টাকা নেওয়া অন্যায়,অপরাধ।তবে আপনি (সাংবাদিক) যেহেতু বলেছেন তাই নদীর দুইপাশেই সতর্কতা স্বরূপ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের চার বছর পার হলেও সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ব্যবসায়ী শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার লক্ষলক্ষ মানুষ।নিয়মিত যান চলাচলেও বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে জনসাধারণকে।ব্রীজ না থাকায় ইছাপুরা বাজারের ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন লোকসানের মুখে।খেয়া পারাপারেও প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকার চাঁদাবাজি চলছে প্রকাশ্যে।তাই সকল ধরনের চাঁদাবাজিও অনিয়ম রোধ করে দ্রুত ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জোরালো দাবী জানিয়েছেন নদী তীরবর্তী ভূক্তভোগী বাসিন্দারা।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর