ইন্টারপোলের রেড নোটিশের আওতায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ

অর্থনৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত, এখনও ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নেই
বাংলাদেশঃ ঢাকা
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এনামুল হক সাগর।
তিনি জানান, চলতি মাসেই রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। তবে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে এখনো বেনজীর আহমেদের নাম বা ছবি ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় আপলোড হয়নি।
রেড নোটিশের পটভূমি ও অভিযোগসমূহ:
-
রেড নোটিশ জারির আবেদনে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।
-
একটি নির্ভরযোগ্য পুলিশ সূত্র জানায়, এ অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) তিন ধাপে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করে।
-
একই আবেদনে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ করা হয়।
-
বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণ সংযুক্ত করা হয়েছে।
দুর্নীতির অনুসন্ধান ও দেশত্যাগ:
-
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করেছিল।
-
অনুসন্ধান চলাকালেই তিনি ২০২৪ সালের ৪ মে পরিবারসহ দেশ ত্যাগ করেন।
-
দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে অপ্রকাশিত বহুল মূল্যবান সম্পত্তি ও অবৈধ আয়-সংক্রান্ত নানা তথ্য উঠে আসে।
বেনজীর আহমেদের পেশাগত দায়িত্বকাল:
-
আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব: এপ্রিল ২০২০ – সেপ্টেম্বর ২০২২
-
র্যাবের মহাপরিচালক: জানুয়ারি ২০১৫ – এপ্রিল ২০২০
এই সময়কালে তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ দমন-পীড়ন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির অভিযোগ ওঠে।
ইন্টারপোলের বর্তমান অবস্থা:
-
যদিও রেড নোটিশ ইতিমধ্যে জারি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে, ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে এখনো তার কোনো দৃশ্যমান তথ্য আপডেট হয়নি।
-
রেড নোটিশের তালিকায় কারও নাম ও ছবি আপলোড না থাকলেও সংশ্লিষ্ট দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে তথ্য পাঠানো হয়ে থাকে, যা গ্রেফতার ও প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কাজ করে।