বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আমার দেহ আমার সিদ্ধান্ত একটা উগ্র ব্যক্তিতান্ত্রিক চিন্তা-ফরহাদ মজহার মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে ১০০ একর জায়গা উদ্ধার র‌্যাব সদস্যদের অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঢাকায় চলবে ইলেকট্রিক বাস!ব্যয় হবে ৫০০ কোটি টাকা স্ত্রী সন্তানের পর মারা গেলেন দগ্ধ তোফাজ্জল মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না-ডিসি মাসুদ আলম কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় কন্ঠশিল্পী নোবেল গ্রেফতার ঢাকা অচলের হুঁশিয়ার দিলেন ইশরাক সমর্থক টঙ্গীতে প্রতিবন্ধীর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা, আটক বাড়ির মালিক দিনাজপুরে ডিএনসি-র অভিযানে ১০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক-১

খিলক্ষেত বাজারে চাঁদাবাজির মাসিক টার্গেট:নেপথ্যে নেতা ফজলুর অনুসারীরা

এস এম নাহিদ / ২৩৫ সময়
আপডেট: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

রাজধানীর খিলক্ষেত বাজারে চাঁদাবাজি নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে। দোকানদারদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাসিক চাঁদার নির্দিষ্ট টার্গেট।আর তাতেই দোকানদারদের মিলছে বাজারে ব্যবসা করার স্থায়ী সনদ।

সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজলুর ছত্রছায়ায় নিত্য নতুন কৌশলে এই চাঁদাবাজি চলছে।এই চাঁদাবাজদের সাথে রয়েছে তার ব্যক্তিগত সখ্যতা এবং তার অনুসারী। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাই চাঁদাবাজদের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যায় এই নেতা ফজলুকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিটি দোকানের জন্য নির্ধারিত চাঁদার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এবং ৮/১০টি করে দোকানের টাকা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কতিপয় ব্যাবসায়ীদের।ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে চাঁদাবাজির শিকড় উৎপাটন করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চাঁদাবাজির এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি, যিনি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রটি বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর চাঁদা আদায়ের ফাঁদ পেতেছে।

এদিকে খিলক্ষেত বাজারে সরকারি রেলওয়ের জায়গায় নির্মিত রেলওয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি উক্ত বিএনপি নেতা ফজলু।মসজিদের উন্নয়নের নামে শতাধিক দোকান থেকে
প্রতিদিন ১০০/= টাকা হারে নিয়মিত চাঁদা তোলা হয়। চাঁদার টাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কতটুকু যুক্তিযুক্ত কিংবা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ন্যায়- সংগত কিনা, সেই প্রশ্ন এখন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চাঁদাবাজির বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর তাই বিগত কয়েকদিনে সেনাবাহিনীর সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে বেশ কয়েকজন চাঁদাবাজ।বর্তমানে অন্যান্য চাঁদাবাজরা গা-ঢাকা দিলেও গডফাদাররা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।তাই খিলক্ষেত থেকে চাঁদাবাজি নির্মূল করতে হলে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছাই একমাত্র পন্থা বলে মনে করেন খিলক্ষেতবাসী।পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এলাকাবাসীর দাবি, শুধু তদন্ত নয়, এই চাঁদাবাজি বন্ধে শক্ত পদক্ষেপ ও স্থায়ী নজরদারি প্রয়োজন, যাতে বাজার ব্যবসা-বান্ধব ও নিরাপদ পরিবেশে ফিরে যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর