ডুমনী এলাকায় নয়ন-শাকিলের বেপরোয়া চাঁদাবাজি:আতংকে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী

রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনী ৪৩নং ওয়ার্ড এখন শাকিল ও নয়ন নামের দুই দুর্বৃত্তের দখলে। এলাকার ভাঙারি দোকান, ফুটপাত, এমনকি নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে চলছে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি। এদের লাগামহীন চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দিনমজুর পর্যন্ত সবাই।
চাঁদাবাজির টার্গেট অনুসন্ধানে জানা যায়,রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডুমনী ৪৩নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব নয়ন ও সহযোগী শাকিল চক্র এলাকায় গড়ে তুলেছে একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। প্রতিটি ভাঙারি ব্যাবসায়ীকে বাধ্যতামূলক তাদের পছন্দের দোকানে মালামাল বিক্রি করতে হয়।এসময় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই মোটা অংকের টাকা দিতে হয় এই চাঁদাবাজদের।ডুমনি বাজারে অবস্থিত মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন বাবদ ২০হাজার টাকা বাজারের ছোটবড় সকল ব্যবসায়ী প্রতিমাসে স্বেচ্ছায় দিয়ে থাকে।বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,এই ২০ হাজার টাকা এখন থেকে নয়ন ও শাকিলকে দিতে হবে নতুবা আমাদের বাজারে কোন ধরনের ব্যবসা করতে দিবে না।তাই বর্তমানে আতংকের ভিতরে আমরা দিন যাপন করছি।
এদিকে বাজারে রাস্তার উপরে বসা প্রতিটি দোকান ও ভ্যানগাড়ি থেকে নিয়মিত টাকা তুলছে এই সিন্ডিকেট। এলাকার ময়লার টাকাও যাচ্ছে এদের পকেটে।এলাকার নির্মাণাধীন ভবনগুলোর মালিকদের কাছ থেকেও মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হয়। দাবি পূরণ না করলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া সহ শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখানো, এমনকি হামলা পর্যন্ত চালানো হয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক মহলের গোপন সখ্যতা রয়েছে। ফলে প্রশাসন সব জেনেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও খিলক্ষেত থানা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম বলেন, কোন ধরনের চাঁদাবাজদের আমরা আশ্রয় কিংবা প্রশ্রয় দেই না। দলের ক্ষতি হোক কিংবা সুনাম নষ্ট হোক, এরকম কোন কর্মকান্ড আমি নিজেই পছন্দ করি না। তবে এই চাঁদাবাজ নয়ন ও শাকিলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে দেখিনা।এদিকে ৪৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি দিদারুল আলমের সঙ্গে মুঠাফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি জাকির হোসেনের কাছে চাঁদাবাজদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনিও সিনিয়র নেতা রেজাউল করিমের বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নয়ন ও শাকিলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন এবং এই বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।