বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আমার দেহ আমার সিদ্ধান্ত একটা উগ্র ব্যক্তিতান্ত্রিক চিন্তা-ফরহাদ মজহার মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানে ১০০ একর জায়গা উদ্ধার র‌্যাব সদস্যদের অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঢাকায় চলবে ইলেকট্রিক বাস!ব্যয় হবে ৫০০ কোটি টাকা স্ত্রী সন্তানের পর মারা গেলেন দগ্ধ তোফাজ্জল মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না-ডিসি মাসুদ আলম কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় কন্ঠশিল্পী নোবেল গ্রেফতার ঢাকা অচলের হুঁশিয়ার দিলেন ইশরাক সমর্থক টঙ্গীতে প্রতিবন্ধীর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা, আটক বাড়ির মালিক দিনাজপুরে ডিএনসি-র অভিযানে ১০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক-১

পলাশের আত্মহত্যা নিয়ে জানা গেলো

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪৮ সময়
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
Oplus_131072

পলাশ ২ বছর আগে বিয়ে করেন ফরিদপুরের চৌধুরীপাড়ায় এক শিক্ষিত তরুণী সুস্মিতা সাহাকে। বিয়ের ৬-৭ মাস পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। স্ত্রী প্রায়ই পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ঝা’মে’’লা করতেন। মায়ের সাথে থাকতে চাওয়াটা যেন অ’প’রা’’ধে পরিণত হয়। বারবার চা’’পে ফে’লা হয় পলাশকে—মাকে বাড়ি পাঠিয়ে দাও।

কিন্তু পলাশ ছিলেন মা-ভক্ত। নিজে চট্টগ্রামে পোস্টেড থাকায় মাকে নিজের সাথেই রেখেছিলেন। এটাই ছিল তার ‘অ’প’রা’’ধ’।
তবে শেষ পর্যন্ত পলাশ মা এবং স্ত্রী কাউকে ছাড়তে চাননি, তাই সে নিজেই চ’’লে গেলেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন পলাশ।৩৬ তম বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে ছিলেন আর ৩৭তম পুলিশ ক্যাডারে গৌরব ভাবে স্থান পেয়েছিলেন তিনি ।এ এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন Rab সাত এ। জীবনে যতো অর্জন থাকুক না কেনো সব কিছু থেমে গিয়েছে পারিবারিক কলহের কারণে। স্ত্রী সুস্মিতা পলাশের মাকে নিয়ে একসাথে থাকতে চাইতেন না। স্ত্রী চাইতেন মা গ্রামে ফিরে যাক।এ নিয়ে প্রতিদিন কিছু না কিছু কলহ লেগেই থাকতো। পলাশ কিছুতেই মাকে গ্রামে পাঠিয়ে দিতে চাইতেন না তিনি মা ও স্ত্রী দুইজনকেই বেশ ভালো বাসতেন। এই দুইয়ের মাঝে পলাশ প্রতিদিন টুকরো টুকরো হচ্ছিল।জানা গেছে তার স্ত্রী তার ও তার মায়ের গায়ে হাত তুলে।এটি ছিল সহ্যের একেবারেই শেষ প্রান্ত।সে আর নিতে পারেননি ।

একপাশে দায়িত্ববান পুলিশ অফিসার আরেক পাশে ভেঙে পড়া মানুষ ।সে মানুষটা নিজেই নিজের ব*ন্দু*ক দিয়ে নিজেকে শেষ করে দেন। তিনি তার চিরকুটে লিখে যান,, আমার মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী অন্য কেউ নয়।বৌ যেনো নিজের স্বর্ণ নিয়ে যায় ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের তারা যেনো মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা সব মায়ের জন্য।

কথা থেকে বুঝা যায় পলাশ একা ছিলেন না তবুও মা বৌ পরিবার থাকতেও একা ছিলেন। পারিবারিক কলহ আর সুস্মিতা সাহার বিভিন্ন অভিযোগ,, মারধর,আর মাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার চাপ সব মিলিয়ে পলাশের শান্তির জায়গাটা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পলাশ বৌ আর মাকে একসাথে রাখতে চেয়েছিলেন কিন্তু স্ত্রী সেটা মানতে পারতেন না। ঘটনার দিন সকালেই মা আর পলাশ স্ত্রীর হাতে শারীরিক ভাবে নির্যাতন হয়েছেন । তিনি আর নিতে পারছিলেন না।সেদিনই ঘটে যায় নির্মম ঘটনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর