মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মুকসুদপুরে বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা সম্পন্ন পরিবেশ দুষণকারী অবৈধ সিসা তৈরীর কারখানায় জরিমানা চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী জানিয়ে কাফনের কাপড় পড়ে মানববন্ধন মুকসুদপুরে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন  জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাথে আমীরে জামায়াতের বৈঠক অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় জাল রশিদে চাঁদাবাজির অভিযোগ অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে ইরানে ডজনখানেক বিমান হামলা!জানালো ইসরাইলি সেনাবাহিনী উন্নয়নে বাধা দিল প্রভাবশালীরা! প্রাণনাশের হুমকিতে থানায় অভিযোগ দেশের পুঁজিবাজারে ইরানে মার্কিন হামলার প্রভাব

ফরিদপুরে বিক্রি হওয়া আট মাসের শিশু তানহা উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, গাজী মো: নিয়ামুল ইসলাম / ৪৯ সময়
আপডেট: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

ফরিদপুরে জোর করে মায়ের কোল থেকে নিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া আট মাসের সেই শিশু তানহা আক্তারকে উদ্ধার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)।

সোমবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফরিদপুর র‍্যাব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার জানান, রোববার শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশু তানহাকে উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটিকে নগরকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ বিকেলে ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিশুটির অভিভাবকত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, র‍্যাবের মাধ্যমে শিশুটি উদ্ধার হয়েছে, তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে মা পপি বেগম কালবেলাকে বলেন, আমি আমার বাচ্চাকে ফিরে পেতে চাই। যারা আমার মেয়েকে বিক্রি করেছে তাদের বিচার চাই। আমার কাছে সব কাগজপত্র আছে। আমি ন্যায্যভাবে আমার সন্তানকে চাই। বাচ্চার জন্যই একজন মা লড়াই করে যায়।

এর আগে ভুক্তভোগী পপি বেগম অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে আমার বাড়ি। তিন বছর আগে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামপাশা গ্রামের কাইয়ুম বিশ্বাসের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। এ সময় কোলজুড়ে আসে একটি কন্যাসন্তান। কিন্তু সুখ বেশিদিন টিকেনি। পাঁচ মাস আগে কলহের জেরে মৌখিকভাবে তালাক দেন কাইয়ুম।

তিনি আরও বলেন, তালাকের সময় আট মাস বয়সী কন্যাশিশু তানহাকে জোর করে রেখে দেন তিনি। কিছুদিন পর জানতে পারি, আমার সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকায়। শিশুটি বিক্রি করা হয় একই উপজেলার শাখরাইল গ্রামের কুবাদ শেখের মেয়ে কোহিনুর বেগমের কাছে। আর এ বিক্রির মধ্যস্থতা করেন নগরকান্দা উপজেলার দলিল লেখক আলমগীর তালুকদার। পরবর্তীতে তানহাকে আনতে গেলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কন্যা শিশুকে উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর