মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মুকসুদপুরে বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা সম্পন্ন পরিবেশ দুষণকারী অবৈধ সিসা তৈরীর কারখানায় জরিমানা চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী জানিয়ে কাফনের কাপড় পড়ে মানববন্ধন মুকসুদপুরে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন  জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাথে আমীরে জামায়াতের বৈঠক অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় জাল রশিদে চাঁদাবাজির অভিযোগ অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে ইরানে ডজনখানেক বিমান হামলা!জানালো ইসরাইলি সেনাবাহিনী উন্নয়নে বাধা দিল প্রভাবশালীরা! প্রাণনাশের হুমকিতে থানায় অভিযোগ দেশের পুঁজিবাজারে ইরানে মার্কিন হামলার প্রভাব

সৌদিআরবে বাংলাদেশি হাজীদের দুঃখ দুর্দশাা শেষ হবে কবে

রফিকুল ইসলাম মিঠু / ৭৬ সময়
আপডেট: বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫

মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু ( হাজীদের সাথে টেলিফোনে আলাপ ) বর্তমান সরকারের আমলে হজ মৌসুমে বাংলাদেশি হাজীদের জন্য সুব্যবস্থা করার কথা বলা হলেও বাস্তবে ভিন্ন চিত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক হাজী উক্ত প্রতিবেদকের সাথে টেলিফোনে বলেন খাবার ও থাকার জায়গায় ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

খাবার নিয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও লজ্জাজনক। প্রতিদিন খাবারের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে খাবার পরিবেশন প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। যেসব শ্রমিক এই কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাদের কেউ কেউ ভিসা ও আকামা জটিলতার কারনে ধরা পড়েছেন,। কেউবা ভয়ে পালিয়ে গেছেন। অনেকে খাবার রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন—এ যেন এক নিষ্ঠুর খেলা।

 

বাংলাদেশী হাজিরা মনে করেন সৌদি সরকারের উচিত ছিল বাংলাদেশি হাজীদের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা সহজ করা।অথচ বাস্তবে ঘটছে তার বিপরীত। এখনো যারা সেবা দিচ্ছেন, তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে হাজীদের খাবার নিশ্চিত করাই কঠিন হয়ে যাবে। হজ ব্যবস্থাপনায় অতীতে যে শৃঙ্খলা ছিল, করোনার আগে যা আমরা দেখেছি, সেই পুরনো অবস্থায় ফিরে যাওয়া এখন সময়ের দাবি। একসময় মুয়াল্লিম ফি ছিল মাত্র ২০,০০০ টাকা, এখন মিনার ডি-গ্রুপে সেই একই সেবার জন্য নেওয়া হচ্ছে ১,৫০,০০০ টাকা! এ কেমন অবিচার? আগে প্রতিদিন জমজমের পানি সরবরাহ করা হতো, গত বছর একদিন দিয়ে আর দেয়নি। আর এ বছর তো এখনো একদিনও দেওয়া হয়নি।

হাজীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অস্বাভাবিক হারে বাড়ি ভাড়া, নিত্যনতুন খাত আবিষ্কার করে আদায় করা হচ্ছে টাকা। হাজীরা পড়ছেন একের পর এক ঝামেলায়। হেরেম শরীফে যাওয়া ও দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। জায়গায় জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়ে হাজীদের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। মাত্র পাঁচ মিনিটের রাস্তা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হাজীদের ক্লান্ত করে তোলা হচ্ছে। অথচ আগেও এর চেয়ে বেশি হাজী আসতেন, তবু এত প্রতিবন্ধকতা ছিল না।

হাজীদের প্রশ্ন আজ কেন? হাজীদের উপর ১৭% ভ্যাট চাপানো, প্রতিটি জিনিসে ১৫% কর আরোপ—এসবের যৌক্তিকতা কোথায়? এত চেকপোস্ট, এত প্রশ্ন—জেদ্দা বা তায়েফ থেকে মক্কা ফিরতে হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে একাধিক স্থানে চেক করা হয়। একটি বিভাগ জানে না অন্যটি কী করেছে। সমন্বয়ের অভাবে হাজীরা হচ্ছেন হয়রানির শিকার। হোটেলগুলোতে দিন-রাত হাজীদের কক্ষে কক্ষে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, যেন হাজীরা অপরাধী! প্রতিটি হজ গ্রুপকেই অসংখ্য অনর্থক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। এটা জুলুম—আর জুলুমেরও একটা সীমা থাকা দরকার বলে হাজীরা মনে করেন। তারা আরও বলেন এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় কে আরো কঠোর অবস্থান নেওয়া দরকার।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর