সিরাজদিখানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগ

সরেজমিন ও অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালে শেখ মোঃ আমজাদ শেখরনগর রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইন্সটিটিউট গর্ভনিং বডির সভাপতি হয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন জমি ব্যবহার করে শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদ এর সামনে দিয়ে ঘাটলা নির্মাণ করেন।মূলত নদীর পাশে তার ব্যক্তিগত জমিতে যাতায়াতের সূবির্ধাথে তিনি ঘাটলা এবং রাস্তা নির্মান করেন বলে জানান স্হানীয়রা।এ কাজে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম এবং ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার শেখ মোঃ হেলাল।
শেখরনগর ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, পলু দাসের বাড়ি সংলগ্ন ২২ শতাংশ জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। শেখরনগর মৌজা অধীন শ্বষাণের পাশে ২৩৪ নং আরএস দাগের জমিটিতে সরকারি অনুদানে ঘাটলা নির্মীত হয়।নির্মান ব্যয়ের অর্ধেক সরকার এবং বাকি অর্ধেক পলু দাস নিজে ব্যয় করেন।তাদের দাবি এটি স্হানীয় জেলে সম্প্রদায়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, জমি টি তারা দখলে রাখতে ঘাটলা নির্মান করেন। শেখরনগর বাজারে অবস্থিত মসজিদের দখলীয় শেখরনগর মৌজার সাবেক ২৮৩ হালে ২২৯ নং খতিয়ানেন ৪৩৫ নং দাগে ১৪ শতাংশ, ৪৩২ দাগে ৩১ শতাংশ এবং ৪৩৩ দাগে ৬ শতাংশ মোট ৫১ শতাংশ জমির কতক অংশে মসজিদ কমিটি স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করলে তা বন্ধ করে দেন শেখ মোঃ আমজাদ এর বড় ভাই শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ।তাদের দাবি এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ঘাটলা নির্মীত হবে। মসজিদের মুসল্লী দের দাবি,মসজিদের সামনে জেলে সম্প্রদায়ের ঘাটলা হলে,মুসল্লীদের নামাজ আদায়ে সমস্যার সৃষ্টি করবে।
তবে মসজিদ মার্কেট বনাম সানঘাট নির্মান সংক্রান্ত বিরোধ পূর্ণ জমির কতক অংশ ১ নং খাস খতিয়ান বলে জানা গেছে।শেখরনগর বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, জমি টি কতক অংশ সরকারি হলেও তা দীর্ঘ বছর ধরে মসজিদ কর্তৃপক্ষের ভোগ দখলে রয়েছে।মসজিদ কর্তৃপক্ষ জমিতে স্হাপনা নির্মান কাজক্রম শুরু করলে,শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ উক্ত জমি রায় বাহাদুর স্কুল কর্তৃপক্ষের বলে দাবি করে মসজিদের স্হাপনা নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন।অন্য দিকে বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি, মোঃ নুর হোসেন মসজিদের জমি পরিমাপ করে মসজিদ কমিটি বরাবর বুঝিয়ে দিতে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যপারে নিষিদ্ধ সংগঠন শেখরনগর ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি পলু দাস কে বার বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।এমন কি তার ইমু, ম্যাসেন্জার,ওয়াটস আপে বক্তব্য চেয়ে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন উত্তর দেন নি।
শেখরনগর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি, শেখ মোঃ আমজাদ এর মোবাইল নম্বরে বার বার ফোন দিলেও নম্বর টি বন্ধ পাওয়া গেছে।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।