মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক চাপালো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে উত্তরখানে লিফলেট বিতরণ ও পথসভা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুরের আইডিয়াল স্কুল–তেরাইসা রোডে খানাখন্দের রাজত্ব জীবন দিয়ে হলেও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনা পালন করব-এস এম জাহাঙ্গীর আশুলিয়ায় সাব রেজিস্ট্রারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানব্বন্ধন কমিশন কিছুই চাপিয়ে দেয় নি-অধ্যাপক আলী রীয়াজ আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলাই এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা আন্তর্জাতিক ইসলামী গবেষণা প্রতিনিধির সাথে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা উত্তরা থানা জামায়াতের উদ্যোগে পবিত্র আশুরার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা মুকসুদপুরে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় জামায়াত প্রার্থী মাওলানা আবদুল হামীদ

একই কলেজে দুই অধ্যক্ষ! – বদলগাছীতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা

স্টাফ রিপোর্টার: সুমাইয়া নূর প্রভা / ৫২ সময়
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫

নিয়মিত অধ্যক্ষ থাকতে ‘ভারপ্রাপ্ত’ হয়ে বসে পড়লেন জ্যেষ্ঠ প্রভাষক।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে। বদলগাছী মহিলা ডিগ্রী কলেজে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন একজন নিয়মিত অধ্যক্ষ, তবুও ওই কলেজেরই একজন জ্যেষ্ঠ প্রভাষক নিজেকে ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’ দাবি করে অফিস কক্ষের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে নাম লিখে বসে পড়েছেন। এতে করে শিক্ষক, কর্মচারীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, বদলগাছী মহিলা ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যক্ষ রেজাউল করিম। তিনি কলেজ পরিচালনা কমিটির অনুমোদন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। এরই মধ্যে কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ইমামুল হোসেন গত কিছুদিন ধরে নিজেকে ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’ পরিচয়ে পরিচিত করতে শুরু করেন।

সম্প্রতি কলেজ অফিস কক্ষে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে ডেস্ক ক্যালেন্ডারে নিজের নাম লিখে দেন “ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমামুল হোসেন” হিসেবে। এ ঘটনায় কলেজে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অনেকেই বিষয়টিকে নিয়মবহির্ভূত, স্বেচ্ছাচারী ও অনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন। শিক্ষক সমাজের একাংশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।

এ বিষয়ে কলেজের নিয়মিত অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, “আমি যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এমন অনভিপ্রেত ও বেআইনি পদক্ষেপ কলেজের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবগত করা হবে।”

অন্যদিকে, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ইমামুল হোসেন তার অবস্থান ধরে রেখেছেন। তিনি দাবি করেছেন, “পরিস্থিতির কারণে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। প্রয়োজনে দাপ্তরিক কাগজপত্র দেখাতে প্রস্তুত আছি।”

এ ঘটনায় কলেজ পরিচালনা কমিটিও বিভ্রান্তিতে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা অফিস ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীরা চান, দ্রুত এই অস্থিরতা দূর করে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখা হোক। একই কলেজে দুইজন অধ্যক্ষের বিষয়টি শুধু প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গই নয়, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও স্থিতিশীলতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর