ডাকাতির শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য আসলাম শেখ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য আসলাম শেখ ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ ডাকাতির শিকার হয়েছেন। এ ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার ভোররাতে, আনুমানিক ৪:০০ টার দিকে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা হাইওয়ে এলাকায়।
তিনি কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে নিজ বাড়ি, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দাশেরহাট গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।
আসলাম শেখ যাত্রীবাহী একটি যানবাহনে করে ভাঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে নির্দিষ্ট জায়গায় নেমে পড়েন। তখনই পূর্বপরিকল্পিতভাবে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল তার ওপর আক্রমণ চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ডাকাতরা ছিল মুখোশধারী এবং তাদের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র, লোহার রডসহ ভয়ংকর সরঞ্জাম। তারা হুমকি দিয়ে আসলাম শেখের কাছ থেকে নগদ অর্থ, একটি স্মার্টফোন এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও সেনাবাহিনীর কিছু কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।
ভাগ্যক্রমে, ডাকাতদের হামলায় আসলাম শেখ কোনো শারীরিক আঘাত পাননি এবং তার পরনের পোশাকও অক্ষত ছিল। তবে মানসিকভাবে তিনি ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একজন কর্মরত সেনাসদস্য হিসেবে এমন ঘটনায় শিকার হওয়া দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি একটি বড় প্রশ্ন তুলে দেয়।
ঘটনার পরপরই আসলাম শেখ ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় যোগাযোগ করেন। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও ততক্ষণে ডাকাতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান,
“আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এছাড়া সড়কে অতিরিক্ত টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়। তারা জানান, ভাঙ্গা হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকায় বিগত কয়েক মাসে সড়কে ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার একজন সেনা সদস্যের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটায় জনমনে আরও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে—
“রাত ও ভোরের সময় সড়কে টহল ও নজরদারি বাড়াতে হবে। একইসাথে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।”
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ঈদ বা ছুটির মৌসুমে সড়কপথে নিরাপত্তা আরও সুসংহত করার প্রয়োজনীয়তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।