মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার আড়ালে বিশাল পর্নোগ্রাফি চক্রের সন্ধান

মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা আড়ালে গড়ে তুলেছেন বিশাল এক পর্নোগ্রাফি চক্র। যাদের মূল টার্গেট উঠতি বয়সী তরুণী। যাদের লোভ দেখানো হত বিভিন্ন আকর্ষণীয় চাকুরি এবং মডেলিংয়ের। এসব তরুণীদের ফাঁদে ফেলে নুড ভিডিও কল, পর্নোগ্রাফি তৈরিতে বাধ্য করত চক্রটি। আবার এসব কন্টেন্ট বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুই মেডিকেল শিক্ষার্থী। চক্রের মূল হোতাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ।
বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
ব্রিফিং আরও জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক টেলিগ্রামে ভুয়া একাউন্ট খুলে লোভনীয় চাকরি, ট্যালেন্ট হান্টিং ও মডেলিং এর বিজ্ঞাপন দিত চক্রটি। অসহায় দারিদ্র কম বয়সী তরুণীদের টার্গেট করত চক্রের সদস্যরা। ফাঁদে পা দিলেই তাদের দিয়ে গ্রুপ খুলে বাধ্য করত, ক্যাম ভিডিও কলে। অর্ধনগ্ন ক্যাম সার্ভিসের দৃশ্য চক্রের সদস্যরা গোপনে ভিডিও করে পরবর্তীতে বাধ্য করত দেহ ব্যবসায়। এ সব কিছুর ভিডিও আবার বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
চক্রের মূল হোতা মেডিকেল শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ও তার ভাই সুজন গত প্রায় সাত বছর ধরে এক হাজারের মত তরুণীকে ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি করে আসছিল। যশোর সাতক্ষীরা চাঁদপুর ও ঢাকা থেকে চক্রের মূল হোতাসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, মো. মেহেদী হাসান (২৫) ও তার প্রধান সহযোগী ২. শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬) ৩. মো. জাহিদ হাসান কাঁকন (২৮) ৪. তানভীর আহমেদ দীপ্ত (২৬) ৫. সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭) ৬. শাদাত আল মুইজ (২৯) ৭. সুস্মিতা আক্তার পপি (২৭) ও ৮. নায়না ইসলাম (২৪)।
অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনে প্রায় ১০ লাখ নগ্ন ছবি, এবং ২০০০০ এডাল্ট ভিডিও পাওয়া গেছে বলে জানাই সিআইডি৷ এককৃতদের বিরুদ্ধে টিএমপির পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷