বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

চাঁদপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষ! আহত প্রায় দুইশ

রিপোর্টার নাম: / ৩৯ সময়
আপডেট: রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪
Oplus_131072

চাঁদপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষ! আহত প্রায় দুইশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা চলমান অসহযোগ আন্দোলনে চাঁদপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষে সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত দেড়শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় শহরের বাসস্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

সকাল ১১টায় ছাত্রলীগের অবস্থান ছিল পাশের ইলিশ চত্বরে। ছাত্রলীগের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীদের সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া করেন।

 

সকাল ১১টা থকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও ছাত্ররা হাতে লাঠি নিয়ে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া করেন। ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। এতে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে অনেকেই ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হন। শিক্ষার্থীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।

এরপর আবার বেলা ১টার দিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ধাওয়া খেয়ে শিক্ষার্থীরা বাসস্ট্যান্ড থেকে আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নেন। পরে শিক্ষার্থীরা ড্রোন উড়িয়ে ছাত্রলীগের অবস্থান নিশ্চিত হন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তখন দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এসময় তাদের ধাওয়া করে আবার বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুলিশ, সাংবাদিক, ছাত্রলীগ ও অনেক শিক্ষার্থী ও অভিবাবক আহত হন।

আন্দোলনকারীরা দুপুরে পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি আলআমিন ভুঁইয়ার ব্যক্তিগত অফিসে গিয়ে ক্যামেরা, কম্পিউটার, আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। আহত সাংবাদিকরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশের মধ্যে আহতরা হলেন-চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম, কনস্টেবল আমেনা বেগম, রুপা, লাভলী, ওবায়েদ উল্লাহ ও মুক্তা।

সাংবাদিকদের মধ্যে আহতরা হলেন-এনটিভির জেলা প্রতিনিধি শরীফুল ইসলাম, একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি আলআমিন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান বাবলু, দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি ইব্রাহীম রনি, ঢাকা টাইমসের জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম অনিক, দৈনিক ইলশেপাড় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এস এম  সোহেল, সময় টিভির ক্যামেরা পার্সন নিরব।

এদিকে বিকেলে ডিসি অফিস এলাকার সড়কে, মিশন রোড, নতুন বাজার, কালিবাড়ী, ছায়াবানী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনির বাসার নিচতলায় ও জেলা আওয়ামী লীগ অফিস আগুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহির হোসেন পাটওয়ারীর বাড়ি, যুবলীগের আবু পাটওয়ারির অফিস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির হোসেন মিজির ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া মিশন রোডে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এসব ঘটনার সময় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আশপাশে অবস্থান নেয় পুলিশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর