উল্লাপাড়ায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষ! দোকানে আগুন ও লুটপাট
উল্লাপাড়ায় দুই গ্রুপে সংধর্ষ! দোকানে আগুন ও লুটপাট । তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জের ধরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুই মহল্লাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বাজারের দোকানপাটে ভাঙচুর, লুটপাট এবং পাটগুদামে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে উল্লাপাড়া পৌর এলাকার ঝিকিরা তালুকদার পাড়া ও সাতবাড়ীয়া গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপুরে বাজারের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এরপর পাটের গুদাম ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগুন নেভায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
এদিকে এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে। অনেকেই দোকানের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।
কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, সকালে উল্লাপাড়া মাছের বাজারে ঝিকিরা তালুকদার পাড়া মহল্লার ও সাতবাড়ীয়া গ্রামের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দুপুরে দুই মহল্লার বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এরপর বাজারের একটি কসমেটিকসের দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়, যা আরও কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় লুটপাটও হয়েছে। এছাড়া পাটগুদাম ও সান্দার পাড়াতেও আগুন দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। দোকানের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছি। এ ঝামেলাকে কেন্দ্র করে হামলা বা লুটপাট হতে পারে ভেবে শহরের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী একটা আতঙ্কে আছেন।
উল্লাপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. বেলাল হোসেন বলেন, আমরা গত কয়েকদিন হলো গ্রামের সাধারণ লোকজনকে ও আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘোষগাঁতী মহল্লার হিন্দুদের মন্দির, উপাসনালয় ও বাড়িঘরে পাহারা দিচ্ছি। এতে জামায়াত-শিবিরসহ সব ধর্মের মানুষেরা অংশ নিয়েছেন। যেহেতু এটা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা এবং এর পাশেই স্বর্ণকার মার্কেট, তাই এ ঝামেলাকে কেন্দ্র করে যেন এদিকে হামলা-লুটপাট না চালাতে পারে, সেদিকেও নজর দিয়ে আমরা ব্যাপক তৎপর রয়েছি।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বাবু বলেন, পাটগুদাম ও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উল্লাপাড়া ছাড়াও, শাহজাদপুর, কামারখন্দ, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ ছয়টি উপজেলা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাবে না।
উল্লাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা বলেন, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।