উত্তরখানে পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খেল হেলাল
ইজাজুল(বিশেষ প্রতিনিধি): উত্তরখানে পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খেল নারী লোভী হেলাল। হেলালের পরকীয়ার কর্মকান্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উত্তরখানের মাজার পাড়া এলাকাবাসী ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হেলাল (৪২) উত্তরখান মাজার তালতলা এলাকায় বহুতল ভবনের মালিক। পাশেই রয়েছে হেলালের আরেকটি টিন শেড বাড়ি । সেখানে রয়েছে ১২টা টিন শেড রুম। টিন শেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন আব্দুল কুদ্দুস ও তার স্ত্রী সবুজা (২৮) ও একমাত্র ছেলে। কুদ্দুসের গ্রামের বাড়ি জামালপুর। স্ত্রী সবুজা চানপাড়া জেএসএল ফেক্টরীতে চাকুরী করেন ।
অভিযোগ করে আব্দুল কুদ্দুস জানান, গত এক বছর যাবত হেলাল তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়ে সবুজাকে হেলাল অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি তার স্ত্রী সবুজা তার স্বামীকে জানালে হেলাল ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুসকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখায়।
কুদ্দুস আরো জানায়, তার বাড়িওয়ালা হেলাল তাদের এক মাত্র ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার স্ত্রীকে বশ করে নেন। এছাড়াও পরবর্তীতে হেলাল চালাকি করে তাকে বিভিন্ন লোভ লালসা এবং ভয় দেখিয়ে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে এ বিষয়ে হেলালের সাথে বাড়ীর অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের প্রায় ঝগড়া বিবাদ হয়।
অটোরিক্সা চালক কুদ্দুস জানায়, হেলাল তার রাম লিলা চালাতে কুদ্দুসের সাথে তার স্ত্রী সবুজার বিবাদ লাগিয়ে তাকে এবং তার ছেলেকে গত ৮ মাস যাবত বাসা থেকে বের করে দেয়। তার ভয়ে কুদ্দুস এখনো পর্যন্ত বাসার বাহিরে রয়েছে। এ সুযোগে হেলাল সবুজার সাথে দিন রাত অবাধে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে আসছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে হেলাল সবুজার ঘরে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে তার সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। বিষয়টি অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের মাঝে জানাজানি হয়ে গেলে ভাড়াটিয়ারা ঘরের বাহিরে দিয়ে সিটকানি লাগিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই হেলালের স্ত্রী এসে ঘরের দরজা খুলে তাকে নিয়ে বাড়ির ২য় তলায় গিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। পুলিশ এসে দরজা খুলার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে ফিরে যায়।
জানা যায়, এ ঘটনায় সবুজার স্বামী কুদ্দুস উত্তরখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। হেলাল খারাপ প্রকৃতির লোক।
বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, হেলাল ভয়ভীতি দেখিয়ে আরো কয়েকজন ভাড়াটিয়া মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তার কথা না মানলে বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে বলে। নিরুপায় হয়ে অনেক ভাড়াটিয়া বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও সবুজার মতো কয়েকজন নারী তার ফাঁদে পড়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, হেলাল দীর্ঘ ১২ বছর যাবত ইতালিতে ছিলেন।ইউরোপের দেশ ইতালিতে থাকা অবস্থায় সে ব্যবসায় জড়িয়ে অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জন করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। তথ্য সূত্রে জানা যায় সেখানেও নারীর খপ্পরে পড়ে হেলাল প্রবাস ছাড়তে বাধ্য হন।
সুত্রে জানা যায়, নারীর প্রতি তার অধিক নেশা থাকায় তার স্ত্রীর সাথেও মাঝে মাঝে হেলালের মনমালিন্য এখন ওপেন সিক্রেট।
ভুক্তভোগী কুদ্দুস জানায়, তার স্ত্রীকে হেলাল ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক অবৈধ কাজে লিপ্ত করার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। হেলাল ঘটনার স্বাক্ষীদেরকে জোরপূর্বক বাড়ী থেকে বের করে দিচ্ছে। থানা পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি এবং আসামিও গ্রেফতার হয়নি। আমি হেলালের বিচার চাই।