এবারের ঈদ যাত্রায় সদরঘাট টার্মিনালে নেই কোন যাত্রীর চাপ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। তবে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে আগের মতো সেই প্রচণ্ড ভিড় দেখা যাচ্ছে না। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে, এবং পন্টুনে নোঙর করা লঞ্চগুলোর প্রবেশমুখে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
যাত্রীসংখ্যা তুলনামূলক কম সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে, অন্যদিকে ৪৩টি লঞ্চ টার্মিনালে নোঙর করেছে। তবে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। পন্টুনে থাকা লঞ্চগুলোর সামনে কর্মচারীরা যাত্রী ডাকলেও সাড়া কম মিলছে। লঞ্চের ডেকেও আগের মতো ঠাসা ভিড় নেই, অনেকেই ফাঁকা জায়গায় বিশ্রাম নিচ্ছেন।
যাত্রীদের অভিজ্ঞতা বরগুনাগামী এমভি সুন্দরবন–৯ লঞ্চের যাত্রী নূর ইসলাম বলেন, ‘তিন–চার বছর আগে লঞ্চের ডেকে এমন ঠেলাঠেলি হতো যে বসার জায়গা পাওয়া যেত না। এবার দেখছি ভিন্ন চিত্র, ডেক অনেকটাই ফাঁকা।’ খেপুপাড়াগামী এমভি জামাল–৮ লঞ্চের যাত্রী সালেহা বেগম জানান, ‘লঞ্চের ডেকে অনেক জায়গা ফাঁকা, এবার আরামে বাড়ি যেতে পারব।’
লঞ্চ মালিকদের মতামত লঞ্চমালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সদস্য হামজা লাল শেখ জানান, আজ ভোলা ও লালমোহনের উদ্দেশ্যে তাঁদের দুটি লঞ্চ ছেড়ে যাবে, তবে যাত্রীর চাপ কম। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শুক্রবার পোশাক কারখানার ছুটি শুরু হলে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে পারে।
নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবার জন্য কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও হয়রানি প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নৌ পুলিশের ওসি সোহাগ রানা জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশ, মহানগর পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন এবং নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।
সাধারণত ঈদযাত্রায় সদরঘাটে ব্যাপক ভিড় দেখা গেলেও এবার তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে ছুটির শেষ দিকে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।