শ্রীনগরে নাট্যমঞ্চ মাঠে ঈদগাহ! নামাজ আদায়ে সংকোচবোধ মুসল্লিদের
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে নাট্যমঞ্চের মাঠে ঈদগাহ তৈরী করা হয়েছে। এতে নামাজ আদায় করতে অনেক মুসল্লিরা সংকোচবোধ করছেন।উপজেলা বাড়ৈখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মদনখালীতে জমি মালিকের অনুমতি ছাড়াই অন্যায়ভাবে ঈদগাহ নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।
নির্মিত ঈদগাহে প্রায় ১০ বছর ধরে হচ্ছে ঈদের নামাজ।কিন্তু অনেকেই জানেন না সংশ্লিষ্ট জমিটির মালিক কে বা কারা।জমি মালিক জমি দান বা সাব- কবলা দলিল না করে দিলে কি করে তা ধর্মীয় দৃষ্টি কোন থেকে বৈধতা পেল তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে মুসল্লিদের মাঝে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,মদনখালী উত্তর হাঁটি তাঁতি পাড়ায় অবস্থিত জমিটির মূল মালিক মৃত কাসেম। তিনি এখানে বসবাস করতেন।উক্ত বাড়িটি জোর পূর্বক দখলে নিয়ে নাট্যমঞ্চ বানানো হলেও এলাকাবাসীর চাপের মুখে নাট্যমঞ্চ বাদ দিয়ে এখানে ঈদগাহ নির্মান করা হয়।উত্তরে বসবাস করেন রজব বেপারীর ছেলে মুসলেম বেপারী ও দক্ষিণে বসবাস করেন কাদের মুন্সীর ছেলে পান্নু মুন্সী ওরফে( সেলিম মাস্টার ) নাট্যমঞ্চ বা ঈদগাহ নির্মাণ কোনটির জন্য মৃত কাসেম তার জমি বরাদ্দ করার কোন সঠিক তথ্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায় নি।
তথাপি স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু চক্রের সহযোগিতায় প্রথমে নাট্যমঞ্চ পরে ধর্মপ্রাণ মানুষের চাপে নাট্যমঞ্চ বন্ধ করে ঈদগাহ নির্মাণ করেন।মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত বাড়িকে ঈদগাহ হিসেবে ব্যবহার করার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন বিধি বিধান মানা হয়নি এমনটি জানান স্থানীয়রা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে মানা হয়নি কোন ধর্মীয় নিয়ম।
এ ব্যাপারে ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক, মোঃ পান্নু মুন্সী ওরফে সেলিম মাস্টার বলেন,আমরা জমি মালিকের ওয়ারিশ হতে ৯ শতক জমি ঈদগাহের নামে ক্রয় করেছি। বাকি ৯ শতকের মালিক খোঁজা হচ্ছে, মালিকানা পাওয়া গেলে কিনে নেওয়া হবে।ইতোমধ্যে অনেকেই জমির মালিকানা দাবি করে এসেছিল তারা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি।
কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইউসুফ জানান,আমরা জমি ক্রয় সুত্রে মালিকানা অর্জন শেষে নামজারী করেছি।এ ব্যাপারে বাড়ৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ফারুক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ ব্যাপারে আমি কাগজপত্র ছাড়া কোন কথা বলতে পারবো না।