সন্তানের মর্যাদা পেতে থানায় অভিযোগ
সন্তানের মর্যাদা পেতে নড়াইলের লোহাগড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বাইনতলা এলাকার ইলিয়াস আহমেদ শিমুল(৪২) নামের এক ব্যক্তি।
বুধবার ০৬ নভেম্বর লোহাগড়া থানায় উপস্থিত হয়ে সন্তানের মর্যাদা পেতে উপজেলার কুন্দশী এলাকার মৃতঃ বাবন শেখ’র ছেলে মোঃ আঃ আওয়াল শেখ (মুক্তিযোদ্ধা)(৭০) কে পিতা দাবি করে লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শেখ ইলিয়াছ আহম্মদ শিমুল।
লিখিত অভিযোগে শিমুল উল্লেখ করেন,কুন্দশী এলাকার মোঃ আওয়াল শেখ আমার পিতা, শাফী বেগম আমার সৎ মা, শফিকুল শেখ ও নাজমুল শেখ আমার সৎ ভাই। আমার পিতা আওয়াল শেখ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকরী করতেন।
তিনি রামপাল থানায় কর্মরত অবস্থায় আমার মাকে আনুমানিক ১৯৮১ সালে তার পুর্বের ফ্যামিলি গোপন করে আমার মায়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের এক বছর পর ১৯৮৩ সালে আমি জন্ম গ্রহন করি। বিবাহের পরে আমার পিতা আমার মাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়নি, কারণে অকারণে বিভিন্ন সময়ে আমার মাকে নির্যাতন করে। আমার মা বিবাহের পর আমার পিতার বাড়িতে কয়েকমাস অবস্থান করে।
পরবর্তীতে আমার পিতা ও আমার সৎ মা আমার মাকে অত্যচার নির্যাতন করে তাদের বাড়ি থেকে একবস্ত্রে তাড়িয়ে দেয়। আমার মা পরবর্তীতে আমার বাবার বিরুদ্ধে রামপাল কোর্টে মামলা দায়ের করে এবং আমার মায়ের সাথে তালাক হয়ে যায়। আমার বাবা আমাকে কোর্টের রায় অনুযায়ী ৭ বছর আমার ভরন পোষন দেয় এবং সাত বছর বয়সের পর আমাকে আমার বাবার কাছে নিয়ে আসার কথা থাকলেও সে আমাকে কখনও এখানে আনে নাই।
গত ২০১৬ সালে আমি খুজতে খুজতে এখানে আসি এবং আমার বাবার সাথে দেখা করি। বাবা তখন আমাকে বাড়িতে না নিয়ে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে আমাকে এখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমার মা গত ৩ বছর পূর্বে মৃত্যু বরণ করেন। আমি আমার বাবার কাছে সন্তানের মর্যাদা দাবি করলে তারা আমাকে সন্তানের মর্যাদা দিতে চায়না। আমাকে জীবন নাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে।
সন্তানের মর্যাদা দিবেনা বলে স্পষ্টভাবে আমাকে জানিয়ে দেয় । আমার একটাই দাবি আমি আমার বাবার কাছ থেকে সন্তানের মর্যাদা পেতে চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কারীর সাথে কথা হলে উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। অভিযুক্ত কারী ‘র ছোট ভাই শেখ আঃ রউফ (মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার) সহ তাদের সকল আত্মীয় স্বজনেরা ও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুর রহমান জানান,এই ব্যাপারে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সত্যতা পেলে আইনানুক ভাবে সমাধানের ব্যবস্থা নিবো।
========