বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

নতুন কমিশনের অধিনেই নির্বাচন হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৩ সময়
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশনের অধীনেই হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশনের অধীনেই হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশনের অধীনেই হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ নতুন কমিশন নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এ কমিশনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নিয়োগ পাওয়ার এক প্রতিক্রিয়ায় সিইসি নাসির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের নির্বাচনের ইতিহাস হচ্ছে কলঙ্কিত ইতিহাস। ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এ নির্বাচনের জন্য মানুষ গুম, খুন হত্যার শিকার হয়েছে। এ ভোটারাধিকার আদায় করতে গিয়ে গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কত হাজার হাজার মানুষ আহত হলো পঙ্গু হলো। হাত, পা, চোখ হারাল। নিহত হলো কত মানুষ। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারি, তাহলে তাদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হবে।

তিনি বলেন, সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলাম। সেখানে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবেও সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা থাকবে যাতে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি না হয়। আশাকরি সফল হবো। অতীতেও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল, সামনেও হয়তো অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। সামনে চ্যালেঞ্জ আরও অনেক বেশি। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগোতে হবে। ইনশাল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি পাঁচ সদস্যের নতুন কমিশন গঠন করলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নেওয়ার পর সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। সেই হিসেবে পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এসে পড়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের ওপর। কিন্তু তার আগেই অন্তবর্তী সরকার গঠন হওয়ায় এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়ায় ‘ফাঁসি সাজা’ থেকে মুক্তি রেহাই পেতে ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন আউয়াল কমিশন। এ নিয়ে তিনি সংবিধান নির্ধারিত সময়ে মধ্যে নির্বাচন করতে না পারলে কমিশনের ফাঁসি সাজা রয়েছে বলে পত্রিকায় কলামও লেখেন। সেখানে বলেন, আলোচনার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর