শেষ হলো পদ্মা সেতুর সব কাজ
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সব কাজ শেষ হলো। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৩০ জুন পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। এই উপলক্ষে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে মূল সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। সড়ক এবং রেল অংশ দিয়ে নিয়মিত গাড়ি ও ট্রেন চলছে। মূল সেতুর পাশাপাশি প্রকল্পের সব কাজ শেষ হওয়ায় সমাপ্তি টানা হয়েছে এ প্রকল্পের।
মূল সেতু নির্মাণের পাশাপাশি পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নদীশাসন, জাজিরা ও মাওয়া সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্লট হস্তান্তর, পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে পুনর্বাসন ও সার্ভিস এরিয়া এলাকাগুলোতে বনায়ন, পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় একটি যাদুঘর স্থাপন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কমপ্রিহেনসিভ ডক্যুমেন্টেশন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নিরাপত্তারক্ষীদের আবাসস্থল, বিদ্যুতের সাব-ডিভিশন, টোল প্লাজা, পুলিশ স্টেশন, ওয়ে স্টেশন, ইমারজেন্সি রেসপনস এরিয়া নির্মাণ করা ।
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো টাকা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দেয় অর্থ বিভাগ।
দেশের টাকায় নির্মিত দুই তলা বিশিষ্ট (মূল সেতু ওপরের চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচে রেলপথ) পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। মূল সেতুর কাজ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
এর আগে ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমত্তা পদ্মা নদীর বুকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের বৃহত্তম এ সেতুর উদ্বোধন করেন। ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে নিয়মিত গাড়ি ও ট্রেন চলছে।
পদ্মা সেতু সরাসরি দেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলাকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করেছে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
=========