সিরাজদিখানে রাস্তা সংস্কার না করায় জনদূর্ভোগ চরমে
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সিরাজদিখান-ইছাপুরা সড়কের লালবাড়ী জামে মসজিদ সংলগ্ন একটি ব্রীজ নির্মানের সুবিধার্থে কেটে ফেলা সরকারী একটি রাস্তা সংস্কার না করায় যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক’শত মানুষ। ব্রীজ নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্রীজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর রাস্তাটি সংস্কার করে দেওয়ার কথা থাকলেও রাস্তাটি সংস্কার না করায় লালবাড়ী গ্রামসহ আশপাশের আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিরাজদিখান-ইছাপুরা সড়কের লালবাড়ী জামে মসজিদ সংলগ্ন ১২ মিটার লম্ব আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মানের জন্য ১ কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তর। আর এই ব্রীজটি নির্মানের দায়িত্ব পায় মেসার্স রুবেল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ব্রীজের নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে ব্রীজ নির্মাণের সুবিধার্থে ব্রীজের পূর্ব পাশে অবস্থিত লালবাড়ী গ্রামে যাতায়াতের প্রধান শাখা সড়কটি কেটে ফেলা হয়। ব্রীজ নির্মান শেষ হলেও স্থানীয় এলাকাবাসীর যাতায়াতের প্রধান ও একমাত্র শাখা সড়কটি পুনরায় সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার কথা থাকলেও কথার সাথে কাজের মিল রাখেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। এতে করে স্থানীয় এলাকাবাসীর চলাচলে দূর্ভোগ পোহানোর পাশাপাশি ইজিবাইক ও অটো রিকশা নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করতে না পারায় বেকায়দায় পরেছেন ওই এলাকার কয়েক’শ মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ,নতুন ব্রীজ নির্মাণ শেষ হওয়ার পর পরই গ্রামে প্রবেশের শাখা সড়কটি পুনরায় সংস্কার করে দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা তাদের কাজ শেষ করে সড়ক সংস্কান না করেই বিদায় নিয়েছে। ফলে স্থানীয়দের যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহানোর কারণ হিসেবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদেরকেই দায়ী করে অচিরে যাতে গ্রামে প্রবেশের শাখা সড়কটি সংস্কার করে স্থানীয় কয়েকশ মানুষের তূর্ভোগের ইতি টানা হয় সে জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন,গ্রাম থেকে একটা অসুস্থ্য রোগী কিংবা কোন গর্ভবতি মহিলাকে হাসপাতলে নেওয়ার জন্য গাড়ী নিয়ে বের হওয়ার মত কোন ব্যবস্থা নেই।এমনকি গাড়ী নিয়ে গ্রামে প্রবেশেরও কোন ব্যবস্থা নেই। প্রায় ১ বছর ধরে রাস্তাটি কেটে সংস্কার না করে এভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে। যারা ব্রীজের কাজ করেছে তারাও চলে গেছে। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার দাবী জানাই।
এ ব্যপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রুবেল এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার স্যার দেখিয়ে না দিলে আমি একা একাতো কাজটা করতে পারি না।বিষয়টি নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার স্যারের সাথে কথা বলবো এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী রাস্তাটি করে দেওয়া হবে।
সিরাজদিখান উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন,বিষয় টা আমি অবগত হয়েছি। ব্রীজের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এছাড়া ওখানকার মানুষের অভিযোগ আছে রাস্তাটি নিয়ে। শীঘ্রই রাস্তাটি করে দেওয়া হবে।