সিরাজগঞ্জে তিন নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগের ১২ নেতা কর্মি গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জে তিন নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগের ১২ নেতা কর্মি গ্রেফতার। যুবদল-ছাত্রদলের তিন নেতা হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট ছাত্রদল ও যুবদলের তিন নেতাকর্মী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ও সন্দেহভাজন আসামি।
রোববার (২৫ আগস্ট) ভোর থেকে সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পৌর কোবদাসপাড়া মহল্লার হবি তালুকদারের ছেলে হান্নান শেখ (৪৩), সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামের ফরিদ মোল্লা (৫৫), সয়দাবাদ ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের কুতু শেখের ছেলে জুয়েল (৪২), খাস বড় শিমুল গ্রামের চান সরকারের ছেলে আবু কালাম (৩৯), একই গ্রামের কোরবান আলী আকন্দের ছেলে ইকবাল হোসেন আকন্দ (৪৫), কদম পাল গ্রামের হায়দার আলী (৫৩), খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের ফারুক আকন্দ (৪৭), একডালা গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে আলী হোসেন (৪৩), শিয়ালকোল ইউনিয়নের বিলধলি গ্রামের মাজেদ খান (৪৫), খামারপাইকোশা গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৪৪), ছোনগাছা ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের শরিফ হোসেন (৫৪) ও ছোনগাছা গ্রামের আবু হানিফ (৫২)।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহানুর রহমান রঞ্জু (৪০), গয়লা গ্রামের যুবদল কর্মী আব্দুল লতিফ ও একই মহল্লার ছাত্রদল নেতা সুমন শেখ নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কেউ কেউ এজাহারভুক্ত এবং কেউ কেউ সন্দেহভাজন আসামি। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসব হত্যার ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় সাবেক দুই সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সাবেক একাধিক জনপ্রতিনিধিসহ ৪৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।