শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেই চলছে যুবলীগ নেতার মদখানা(পর্ব-১)
উত্তরায় স্কুলের পাশের ভবনেই চলছে যুবলীগ নেতা মামুন সরকারের মদের দোকান ওরফে মদখানা।
মদের বারে চলছে রাতভর রমরমা মদব্যাবসা। রাজধানীর মেগা সিটি উত্তরার ১৪ নং সেক্টরে ৫৫ গাউসুল আজম এভিনিউ চতুর্থ ফ্লোরে ক্যাম্প ফায়ার নামক একটি বার নীয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ব্যাবসা পরিচালনা করছে এমনটি অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরার মেগা সিটির প্রান কেন্দ্র গাউসুল আজম এভিনিউ এলাকায় ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পলাতক মামুন সরকার রাজনৈতিক মহলের দাপটে মাস্টার মাইন্ড স্কুল নামক শিক্ষা প্রতিষ্টানের পাশের ভবনেই চালাচ্ছেন মদের ব্যবসা। শুধু মদ ব্যবসা নয় বরং সেখানে রাতে চলে অনৈতিক কাজকর্ম। পাওয়া যায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যাল পড়ুয়া কল গার্ল। প্রধান সড়ক ঘেষে রাজনৈতিক শক্তির প্রভাবে চালানো হচ্ছে কোটি টাকার মদ বানিজ্য।
বারটির এক বিন্ডিং পাশে উত্তরার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাস্টার মাইন্ড স্কুল। সরকারি নিয়মে পূর্ব- পশ্চিম ও উত্তর -দক্ষিন দুই’শ গজ এর কম বা বেশি আয়তনের মধ্যে একাধিক মসজিদ শরীফে আজান হয়।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, বারটিতে অ্যালকোহল বা মদ উৎপাদন, কেনাবেচা, পান করা, পরিবহন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি তোয়াক্কা করেনা এই যুবলীগ নেতা মামুন।
যুবলীগ নেতা মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের নির্বাহী আদেশে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮’ এর আওতায় সরকারের বিধিমালার বিপরীতে যুবলীগের গুন্ডা তন্ত্রে রাজত্ব-কায়েম করছে বারটিতে। জানা গেছে ঐ পলাতক যুবলীগ নেতা তার পার্টনারকে দিয়ে বর্তমানে বারটি পরিচালনা করছেন।বর্তমানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন খান মনির, জুয়েল । এবিষয়ে জুয়েলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে মামুন গা ঢাকা দিলেও নিয়মিতই চলছে ক্যাম্পফায়ার নামক মদের বার।
সর্বশেষ ছাত্রজনতার- আন্দোলন দাবাতে সন্ত্রাসী মামুন সরকার ও তার গুন্ডা বাহিনী বারে বসেই ছাত্রজনতাকে আক্রমনের নীল নকশা আঙ্কন করেছিলেন বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট।
নারকোটিকস এর বিধিমালা ২০২৪ মুসলিম প্রহিবিশন রুল ১৯৫০’ ও ‘ এক্সাইজ ম্যানুয়াল ( ভলিউম-২) স্থান গত বিষয় বিবেচনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে বা মসজিদ ঘেষে বার পরিচালনা করা যাবেনা।
তবে ধর্মীয় মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে বার প্রশঙ্গে নারকোটিকসের ঢাকা মেট্রো-উত্তর উপপরিদর্শক শামীম আহম্মেদ প্রতিবেদককে জানান, আপনি একটি লিখিত অভিযোগ দেন । এ ধরনের অভিযোগ অবশ্যই পরিদর্শন করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
কোটিপতি ঘরের বিলাশ বহুল ধনাট্য পরিবারের সন্তান ও কিশোরগ্যাং ঐবারের বিশেষ খদ্দের। রাতভর অশ্লিলতায় মদ ও মেয়ে দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তারা নিয়ম না মেনে শুক্র বারেও বার খোলা রাখে এমন অভিযোগও রয়েছে।
শুক্রবার, মহররম, শবে বরাত, ঈদে মিলাদুন্নবী, শবে কদর, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং সরকার নির্ধারিত দিনে অফ শপ, অন শপ ও দেশি মদের দোকান বন্ধ রাখার বিধান রেখে বিধিমালা হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী, মদের বার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে লেট ক্লোজিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে রাত ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
==========