বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

ফুলকুঁড়ি বেকারিতে মানহীন খাবার তৈরীর অভিযোগ

জাকিরুল ইসলাম / ৬৫ সময়
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪

রাজধানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর জমজমাট ব্যবসায় কয়েকগুন  এগিয়ে রয়েছে মিরপুরের ফুলকুঁড়ি ফুড প্রোডাক্টস বেকারি প্রতিষ্ঠান।

পচা মেয়াদ উত্তির্ণ ও বাসি খাবার পণ্যের তালিকায় এই প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে কয়েকধাপ এগিয়ে । রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থানার লাল মাটিয়া এলাকায় ৭/২ রোডে ১১৩ নং বাসায় অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মানহীন খাবার। আর এ সমস্ত খাবার খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে শিশু সহ নানা বয়সের মানুষ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বেকারিটির সঠিক কোন কাগজ পত্র নেই। প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি । সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, পণ্যের মোড়কের গায়ের মেয়াদ  ও উৎপাদনের তারিখ নাই, রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই, হলমার্ক সিলও নেই।

পুরবেশের ছাড়পত্র , বিএসটিআই’র মেয়াদ শেষ হয়ে গছেে আরো অনেক বছর আগেই। একাধিক শিশু শ্রমিক কাজ করে প্রতিষ্ঠানটিতে। ফুলকুঁড়ি ফুড প্রোডাক্টস প্রতিষ্ঠানটির মালিক বিল্লাল হােসেনের সাথে এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি আক্রমনাত্মক ভাবে চোখ রাঙ্গিয়ে প্রতিবেদকের উপর তেড়ে আসেন ।

প্রতিষ্ঠান মালিক বলেন, আমার বকোরি ভেতরে কাগজ পত্র সব আছে। যখন মূল বেকারিতে প্রবেশ করা হয় তখন দেখা যায় বর্জ্য আবর্জনা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, বেকারির পণ্য তৈরীতে ভােজ্য তেল হিসেবে ব্যবহার করা হয় বাজারের ভেজাল জাতিয় নোংরা অবস্থায় রাখা ডালডা।

পরিত্যাক্ত অবস্থায় আটা যা এক সাথে সিদ্ধ করে রেখে দেয়া হয়েছে কয়েকদিন ধরে। তাতে পোকা মাছি পড়তে দেখা যায়। স্বাস্থ্য বিধির তথ্য মতে এসব খাবার খেলে সাধারন মানুষ প্রচন্ড পরিমান অসুস্থ্য হয়ে পড়বে বলা হয়ে থাকে।

এসব বেকারির পণ্যে খাবারে রং মিশ্রণের কারণে মানবদেহেরে মধ্যে ক্যান্সার, লিভারের সমস্যা সহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এসব খাবারের সাথে মিশ্রিত করে কাপড়ের রং, দীর্ঘদিনের পোড়াতেল , পচা ও নষ্ট চিনিরস।

মনগড়া ভাবে লেখা হচ্ছে উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ। ওজনে দেওয়া হচ্ছে কম। মিরপুর শুধু বিল্লালের ফুলকুঁড়ি ফুড প্রডোক্টস নয় এমন আরো কয়কেটি বেকারি রয়ছে। ভেজাল খাদ্য পণ্যের ক্ষয়ক্ষতির বিষয় তুলে ধরে এসব খাবার না খাওয়ার পরার্মশ দেন নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ। তারা বলনে, এসব খাবার খেলে ক্যান্সাররে ঝুঁকি বাড়। এ ধরনের খাবার আমাদের এড়িয়ে চলা দরকার।

==========


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর