মুন্সিগঞ্জ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইজারাবিহীন পশুর হাঁট
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ দখল করে কোরবানীর পশুর হাঁট বসানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরো মাঠে কোরবানীর পশুর হাট বসানোর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বাঁশ ও খুঁটি পুতে ছামিয়ানা তৈরী করা হয়েছে। শত শত গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। সরকারিভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আগামী ১৩ই জুন বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ১৩ই জুনের প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বেই কোরবানির পশুর হাট বসানোর সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবাদে মাঠে চলাফেরা, দৈনিক সমাবেশ ও খেলাধুলা করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার পূর্বেই মাঠ দখল করে কোরবানির পশুর হাট বসানোর বিষয়ে ইজারাদারের নিকট অনুমতির কাগজ চেয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাকে রোববার পর্যন্ত কোন কাগজ দেননি। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে পঞ্চসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। হাঁটের ব্যপারে আমি কিছু জানিনা। উপজেলা চেয়ারম্যান আনিস মিয়ার ছেলে রাজন ইজারা নিয়েছেন। তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। আর আমি ঢাকা থেকে এসে কথা বলবো।
এ বিষয়ে হাটটির ইজারাদার আব্দুল মতিন জানান, মুক্তারপুর কোরবানীর পশুর হাটটি পঞ্চসার ইউনিয়নের আশে পাশে খালি জায়গা ও মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি ব্যবহার করার অনুমতি নেওয়া হয়েছে। পঞ্চসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একজন মানবিক লোক। চেয়ারম্যানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়ই হাটটি পরিচালিত হচ্ছে। কোরবানীর পশুর হাটটি সকলের উপকারের জন্যই বসানো হয়েছে। মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরো মাঠ ব্যবহার করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের যেন কোন অসুবিধা না হয় সে ব্যাপারটি খেয়াল রেখেই পশুর হাট বসানো হয়েছে। আর মানবিক কাজের জন্য যদি একটু সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে একটু স্যাকরিফাইজ তো করতেই হবে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একে এম আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিফা খান বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে গরুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদি তারা মাঠ দখল করে হাট বসিয়ে থাকেন তাহলে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মোবাইল ফোন ও হোয়াটস অ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।