ফ্যাসিস্টকে তাড়িয়েছি অন্য ফ্যাসিস্টকে আনার জন্য নয়
এক ফ্যাসিস্টকে আমরা দেশ ছাড়া করেছি, অন্য ফ্যাসিস্টকে আনার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, কেউ যদি এখনও শয়নে-স্বপনে কিংবা ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে যে, আবারও ছাত্র-জনতাকে ডমিনেট করে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠবে তারা যেন ওই শেখ হাসিনাকে দেখে শিক্ষা নেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে ছাত্র-জনতা সমাবেশে সারজিস আলম এ কথা বলেন।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমার ভাই যখন রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে তখন সেই হামলাকারী কতিপয় পুলিশ কীভাবে উন্মুক্ত রাস্তায় ঘোরাফেরা করে। ওই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর, চাটুকার, তেলবাজ তোষামোদকারী যেসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রয়েছেন তারা যদি নিজেদের শুধরে না নেন তাহলে শেখ হাসিনার মতোই দেশত্যাগ হতে হবে।
সব সরকারি কার্যালয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে সারজিস বলেন, ভূমি অফিস, হাসপাতালসহ সরকারি দপ্তরে দালালি আর টাকা দিয়ে কাজ করার জন্য জনতার ওষুধ আপনাদের কোম্পানির কাছে বিক্রি করার জন্য ছাত্র-জনতা এই অভ্যুত্থান ঘটায়নি।
তিনি বলেন, দেশে গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটি করেছেন তা হলো, তিনি তার আওয়ামী লীগকেই শুধু ফ্যাসিস্ট বানায়নি, দেশকে শুধু ফ্যাসিস্ট বানায়নি, তিনি আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে ফ্যাসিস্ট বানিয়েছে। এ জায়গা থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে।
শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, আগামীর যে বাংলাদেশ হবে, সেই দেশের নেতৃত্ব শিক্ষার্থীরা দেবে। আমরা চাই ওই সংসদে গিয়ে আপনি একজন এমপি হবেন, একজন মন্ত্রী হবেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন। আপনাদের ওই সংসদে একজন পলিসি মেকার হিসেবে যেতে হবে। কারণ সব কিছু হয় সংসদ থেকেই এবং সব পলিসি মেকিং হয় ওই সংসদ থেকে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে সারজিস বলেন, আপনারা অভিভাবকরা যেমন স্বপ্ন দেখতেন, আপনার সন্তান শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, ম্যাজিস্ট্রেট হবে, তেমনি আপনিও স্বপ্ন দেখবেন আপনার সন্তান দেশের অন্যতম সেরা একজন রাজনীতিবিদ হয়ে উঠবে।
ছাত্র-জনতা সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকার সমন্বয়ক আব্দুল্ল্যাহ সালেহীন অয়ন, মোবাশ্বিরুজ্জামান হাসান, মিতু আক্তার, রাকিবুল হাসান, রফিকুল ইসলাম আইনি ও ইলমা খন্দকার এ্যানি প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা, উপজেলাও সমন্বয়কসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠান শেষে সারজিস আলম সমাবেশে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেলফি তোলেন।