উপদেষ্টা নিয়োগে বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগসহ বিভিন্নখাতে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উত্তরবঙ্গের ছাত্র-জনতা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে উত্তরবঙ্গের ছাত্র-জনতা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।এ সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারে উত্তরবঙ্গ থেকে অতি দ্রুত উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি উত্থাপন করে যমুনা সেতু ব্লকের হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে থেকে ৩ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো, ১. সুষম উন্নয়ন ও অর্ন্তভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের দুই বিভাগ থেকে কমপক্ষে দুইজন করে চার জন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হবে। ২. বিতর্কিত ও জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে না, এমন কোনো উপদেষ্টাকে পরবর্তীকালীন সরকারে রাখা যাবে না
৩. পলিসি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের পরামর্শ নিতে হবে এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমলা ও কর্মকর্তা নিয়োগে আঞ্চলিক বৈষম্য করা যাবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, ১৯৭১ সালের প্রথম শহিদ উত্তরবঙ্গের সন্তান। ২০২৪ সালের বিপ্লবের প্রথম শহীদ উত্তরবঙ্গের আবু সাঈদ। যারা ফ্যাসিবাদের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করেছে, তাদের উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে। অথচ উত্তরবঙ্গ থেকে কোনো উপদেষ্টা নেই।
তিনি বলেন, সচিবালয়ে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলা থেকে মাত্র দুইজন সচিব। উত্তরবঙ্গের মানুষ কি শুধু রিকশাচালক আর কৃষক হবে! তারা কি নীতি নির্ধারণের জায়গায় কখনো যেতে পারবে না!
তিন দফা দাবি না মানলে ওই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে যমুনা সেতু ব্লক হয়ে যাবে।
এই বিপ্লবে উত্তরবঙ্গের আখতার হোসেন আর সারজিস আলমরা যে অবদান রেখেছে তার কোনো মূল্য কেন দেওয়া হয়নি।
তিনি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কখনো বাংলাদেশের সংস্কৃতি কে ধারণ করে না। তাকে কীভাবে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। যে বাংলাদেশের মানুষের সংস্কৃতিকে ধারণ করে না আমরা তার অপসারণ চাই।
ঢাবির শিক্ষার্থী রিফাত রেজোয়ান জামি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ৫০ শতাংশ ভাত আসে উত্তরবঙ্গ থেকে। বিভিন্ন বিপ্লবে রক্ত দিয়ে বিজয় এনেছেন উত্তরবঙ্গের সাহসী সন্তানরা। কিন্তু ভোগ করে অন্যরা। একটি বিভাগ থেকেই ১৩ জন উপদেষ্টা, অথচ উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলা থেকে কোনো উপদেষ্টা নেই। বীজ বপন করবে একজন, ফল পাবে অন্যরা এমনটা কখনোই ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।
তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে যোগ্য ব্যক্তি না পেলে আমাদের বলুন আমরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবো।