শার্ম এল শেইখে গাজা শান্তি সম্মেলন: যুদ্ধবিরতি ও পুনর্গঠন পরিকল্পনায় ঐকমত্য

মিসরের পর্যটন নগরী শার্ম এল শেইখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, মিশরসহ প্রায় ৩০টি দেশ অংশ নেয়। সম্মেলনে গাজার যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করা, মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও পুনর্গঠন পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে ওঠে।
গত ১৩ অক্টোবর (রবিবার) মিসরের শার্ম এল শেইখে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের যৌথ আয়োজক ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, কাতার, তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, জর্ডানসহ প্রায় ৩০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা “Trump Declaration for Enduring Peace and Prosperity” নামে একটি যৌথ শান্তি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। এতে গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা জোরদার, পুনর্গঠন ও প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়।
এ সময় গাজায় আটক শেষ ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইসরায়েল প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তবে ইসরায়েল ও হামাসের কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি এতে অংশ নেননি।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এক বক্তৃতায় বলেন, “এটি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার শেষ সুযোগ। এখন যদি আমরা ব্যর্থ হই, আগামী প্রজন্ম আরও বড় সংকটে পড়বে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক, ও কাতার তাদের বক্তব্যে গাজার পুনর্গঠনে সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। তবে, যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন ও গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব কার হাতে থাকবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।
গাজায় এখনো মানবিক সংকট অব্যাহত। ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো ও লাখো বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবনযাত্রা পুনর্গঠন এখন বিশ্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশাবাদী, শার্ম এল শেইখ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির নতুন সূচনা আনবে।