ময়লার ভাগাড়! দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরে ধর্মীয় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটে ময়লা ফেলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম করা হয়েছে।
মহানগরীর ৪নং ওয়ার্ডের সারদাগঞ্জ ইব্রাহিম মার্কেট এলাকায় ‘সারদাগঞ্জ মডেল মাদ্রাসা’র গেটের সামনে ময়লা ফেলে ভাগাড় সৃষ্টি করা হয়েছে। স্থানীয় সাদেক নামের এক ব্যক্তি নিজের ও ভাড়াটিয়াদের রান্নার ময়লা মাদ্রাসার সামনে ফেলে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
এতে মাদ্রাসার গেট দিয়ে প্রবেশ কিংবা বের হতে হয় তীব্র দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে। ময়লার উৎকট দুর্গন্ধে শ্রেণী কক্ষে বসে থাকতে পারছেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
ময়লা- আবর্জনার উৎকট গন্ধে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগও রয়েছে। যার ফলে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সংখ্যা।
সিংহভাগ শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় মাদ্রাসাটি এখন প্রায় বন্ধের পথে। শুধু এই মাদ্রাসাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক এই সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় থাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।দুর্গন্ধের কারণে নাক চাপা দিয়ে চলতে হয় ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ পথচারীদের।
অবশেষে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগ দায়ের করলে প্রভাবশালী সাদেককে ময়লা সরানোর নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাদেকের হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে সাংবাদিকদেরও। বাদ পড়েননি প্রতিবেশীরাও।
সাদেকের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী ফরিদ হাওলাদার। প্রায় ১৫ বছর আগে ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এ জমির একটা অংশে মেয়ের জন্য বাড়ি করতে গেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় সাদেক। বাড়ী নির্মাণের সব মালপত্র সরবরাহ করবে সে, নয়তো দিতে হবে চাঁদা।
ভুক্তভোগী ফরিদ বলেন, টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাদেক মালেক রহিম ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করে আমার ছেলের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে। এ বিষয়ে সাদেকের বিরুদ্ধে গাজীপুর জজ কোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে ।
প্রতিবেশীরা সাদেকের কথা না শুনলে তাদের নামে দেয়া হয় মিথ্যা মামলা।
আরেক ভুক্তভোগী সালেহা বেগম জানান, ময়লার বিষয়ে কাশিমপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেলে, এস আই (সাব ইনস্পেক্টর) হানিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাদেকের সাথে আলোচনা করলে নিজেই জমির মালিক দাবী করে সাদেক।পরে পুলিশ কর্মকর্তা ভুক্তভোগী সালেহাকে জানিয়ে দেয় তার জায়গায় সে ময়লা ফেলেছে এতে আমাদের করার কিছু নেই।
প্রশাসনের এমন জবাবে বাবা হীন সালেহা বেগম আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আতাউর রহমান ,সাংবাদিকদের বলেন সিটি কর্পোরেশন আইনে নিজের জমি হলেও যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না।
নির্দিষ্ট ডাম্পে ময়লা ফেলতে হবে। আমি দ্রুত ওই ময়লা অপসারণ করে দিব এবং ভবিষ্যতে যেন এভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ না করতে পারে এ ব্যাপারে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।