সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই : বিল্লাল হোসেন
ঢাকা মহানগর উত্তরের অবহেলিত যতগুলো ওয়ার্ড রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ৪৩নং ওয়ার্ড।
জনপ্রতিনিধি হিসাবে ইতিপূর্বে যারা দায়িত্ব নিয়েছেন কিংবা বর্তমানে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, উল্লেখযোগ্যভাবে তেমন কেউ এলাকাবাসীর কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি।
তাছাড়া উক্ত এলাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত এলাকার মানুষ রয়েছে সকল ধরনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। প্রায় ২০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য নুন্যতম একটি কমিউনিটি ক্লিনিক আজও পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি উক্ত এলাকায়।
৪৩নং ওয়ার্ড তথা মস্তুল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মৃত:হাজী সলিমুদ্দীনের বড় ছেলে বিল্লাল হোসেন বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে এলাকাও এলাকার বাহিরের অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি।
পাচ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনিই বড়। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন ভাইদের। এক ছেলে ও ১ মেয়ের জনক বিল্লাল হোসেনের ছেলে বর্তমানে কানাডাতে পড়াশোনা করছেন। মেয়েও দেশের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত।
দীর্ঘদিন থেকে নিজ অর্থায়নে সুখে-দুখে এলাকাবাসীর পাশে থাকেন তিনি।অনেকটা গোপনেই তিনি দান-খয়রাত করেন মহান সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করার লক্ষ্যে। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী।এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা কথা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে। তিনি বলেন,সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া এলাকার উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়। পাশাপাশি বাস্তবায়নও অতি গুরুত্বপূর্ণ। ছেলে না কাঁদলে মা ও দুধ দেয় না। আপনি যদি অন্তর থেকে এলাকা ও এলাকাবাসীকে ভালবাসেন, এলাকাবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নে সত্যিই যদি কাজ করতে চান তাহলে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দপ্তরে গিয়ে খোঁজখবর নিতে হবে। এলাকার উন্নয়নের সরকারি বরাদ্দকৃত কাজ জনকল্যাণে অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন বুনছে এলাকাবাসী।যোগ্য নেতৃত্ব এবং সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে আজও আমরা পিছিয়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক আমাদের এলাকায়।সকল ধরনের নাগরিক সেবা থেকে আমরা তথা এলাকাবাসী বঞ্চিত। জনপ্রতিনিধিদের কোন জবাবদিহিতা নেই এখানে।নেই কোন কাজের স্বচ্ছতা। তবে এলাকাবাসী আমরা সবাই আন্তরিক ও অতিথি পরায়ণ।
আপনাকে যদি জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকাবাসী নির্বাচিত করে তাহলে সর্ব প্রথমে আপনি কি করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মূলত তিনটি মূলমন্ত্রই আমাদের এই ৪৩নং ওয়ার্ডবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম।
প্রথমত, এলাকার উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা।তার মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন ও রাস্তাঘাট মেরামত ও উন্নয়ন। দ্বিতীয়ত,ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করন এবং তৃতীয়ত,প্রতি তিন মাস পরপর সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের বিস্তারিত জনসম্মুখে প্রকাশ করা।
সর্বোপরি জনগনের একজন সেবক হিসাবে প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আসতে পারলেই দূর্নীতিমুক্ত সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা সম্বলিত একটি স্মার্ট ওয়ার্ড গঠন করা সম্ভব।তবে কোন কারণে যদি সরকারি অনুদান না থাকে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নে হলেও ভোগান্তি দূর করতে এলাকাবাসীর কল্যানে কাজ করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে।
===========