শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন

বিকল্পধারা নেতার বিরুদ্ধে সরকারি টিন আত্মসাতের অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি / ১৬৪ সময়
আপডেট: শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নে বিলুপ্ত পাঠাগারের নামে সরকারি বরাদ্দ এনে তা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে সিরাজদিখান উপজেলা বিকল্প ধারার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শেখরনগর ইউনিয়ন বিকল্পধারার সভাপতি, মিজানুর রহমান চন্দনের বিরুদ্ধে। তিনি শেখরনগর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড মৃত নান্নু মৃধার ছেলে।

অনুসন্ধানে জানা যায়,শেখরনগর ইউনিয়নে প্রায় ১০ বছর আগে জিতেন্দ্র ঘোষ এবং অমর স্মৃতি পাঠাগার নামে দুটি মৌখিক পাঠাগারের অবস্থান থাকলেও বর্তমানে তার কোন অস্তিত্ব নেই।তার পরও উক্ত পাঠাগারের নাম ভাঙিয়ে বিকল্প ধারা নেতা মিজানুর রহমান চন্দন বিভিন্ন দপ্তর হতে বরাদ্দ এনে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শেখরনগর রায়বাহাদুর শ্রীনাথ ইন্সটিটিউট এবং বালিকা বিদ্যালয় মাঝ বরাবর খাস জমিতে পাঠাগার ভবন নির্মীত হওয়ার কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হয়নি।নিবন্ধন বিহীন এবং বিলুপ্ত অমর স্মৃতি পাঠাগারের নামে ৫ বান সরকারি টিন এবং অর্থ বরাদ্দ পান অমর স্মৃতি পাঠাগারের কথিত দায়িত্বশীলরা।পাঠাগারের নামে বরাদ্দ এনে তা নিজেরাই আত্মসাৎ করেছেন।সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে চন্দন মৃধার ঘরে উক্ত ত্রানের টিন মজুদ অবস্থায় পাওয়া যায়। তার বসবাসের একটি ঘরে সরকারি ত্রানের টিন লাগানো রয়েছে । ঘর নির্মাণে ব্যবহৃত টিনগুলোতে সরকারি ছাপ্পায় লেখা দেখা যায় ‘ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতরের ত্রান সামগ্রী, বিক্রয়ের জন্য নহে’।তৎকালীন এমপি মাহি বি চৌধুরীর লোক হওয়ায় তার এলাকার হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণের টিন পান মিজানুর রহমান চন্দন। অসহায়দের মধ্যে বিতরণ না করে নিজের ঘর নির্মাণে ব্যবহার করেন এসব টিন।

এ ব্যপারে মিজানুর রহমান চন্দন বলেন ,ঘরে লাগানো টিন গুলো পাশের বাড়িতে বাস করা লিটন তার নিকট বিক্রি করেছেন।ত্রানের ক্রয়কৃত টিন দিয়ে তার ঘর নির্মীত হয়েছে,পাঠাগারের টিন তিনি ব্যবহার করেন নি,তা তার নিকট জমা রেখেছেন।

বিষয় টি জানতে লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি সরকারি যে টিন পেয়েছি, তা দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছি, আমি চন্দন ভাই এর নিকট কোন টিন বিক্রি করিনি,সে মিথ্যা বলেছেন।

অমর স্মৃতি পাঠাগারের সদস্য রানা মাসুদুল হক সাগর বলেন,১৯৮৫ সালে পাঠাগারটি স্থাপিত হয় পরিষদের পাশে আমাদের অফিস ছিল, প্রাথমিক বিদ্যালয় জমি দখল করার পর পাঠাগার বন্ধ হয়ে যায়। পূর্বে আমরা নিজেরা চাঁদা দিয়ে পরিচালনা করতাম, বর্তমান পাঠাগারের কোন কমিটি নাই।

এ ব্যপারে বিকল্প ধারার সিরাজদিখান উপজেলা সভাপতি শাহ আলমাস যোগাযোগ করলে বলেন ,আমি মিটিং এ আছি, পরে কথা বলবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর