খিলক্ষেতে দুই দফা দাবিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের আরইবি কার্যালয় ঘেরাও
এস.এম.নাহিদ : পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতি, লুটপাট ও নিম্নমানের মালামাল ক্রয়ের প্রতিবাদ এবং চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে রাজধানী খিলক্ষেত নিকুঞ্জে আরইবি প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ই আগস্ট) বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে সকালে আরইবি প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান আরইবি’র অদক্ষতা ও নিম্নমানের মালামাল ক্রয় এবং ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোর কারণে ১২ কোটি গ্রাহক কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না।
এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাছাড়া সারা দেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে স্বৈরাচার, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সচেষ্ট ঠিক তখনই বাপবিবো কর্তৃক সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের ওপর স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী কার্যক্রমের মাধ্যমে শোষণ, নিপীড়ন অব্যাহত রাখা হয়েছে।
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সবাই যখন ২য় স্বাধীনতার মাধ্যমে দেশ গঠনে ব্যস্ত তখন বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাপবিবো কর্তৃক বিভিন্ন সমিতির কর্মকর্তাদের হয়রানিমূলক বদলি, বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা (জয়পুরহাট) কর্তৃক সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী মোঃ বেলাল হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকিসহ অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। সেই সাথে হয়রানিমূলক বদলি আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমিতির জিএম মহোদয়দেরকে বোর্ড কর্তৃক প্রচণ্ড রকমের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাই যখন জান মালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই বিদ্যুৎ সেক্টরকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে নিমজ্জিত করার হীন উদ্দেশ্যে বাপবিবো মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তাদের দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আরইবির কিছু কর্মকর্তাদের ইন্ধনে ন্যায্য দাবি না মেনে কর্মীদের বিরুদ্ধে দমন নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, মূল প্রতিষ্ঠান, নিয়োগকারী কর্মকর্তা, চাকরির যোগ্যতা এক হওয়া সত্ত্বেও আরইবির সঙ্গে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা—কর্মচারীদের ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। নিজেদের ন্যায্য দাবি জানিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আরইবিকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা আরইবি কোনও সমাধান না করে উল্টো দমন, নিপীড়ন, শোষণের অংশ হিসেবে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্তসহ নানা ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে।
তবে আরইবি কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশৃংখলা সৃষ্টি করে আরইবিকে ব্যর্থ প্রমাণে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল।
========