সন্ত্রাসী সবুজ মিয়ার হামলায় আতংঙ্কে আছে ব্রাম্মণবাড়িয়ার রোজিনা ও তার পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার আহম্মদপুর গ্রামে সন্ত্রাসী সবুজ কর্তৃক হামলায় এক প্রবাসীর স্ত্রী ও কয়েকজন জখম হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।রোজিনা নামের সেই প্রবাসীর স্ত্রীকে আহত করে, তার শিশু সন্তান আরাফাত হোসেন রাব্বী(১১)কে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
সূত্র জানায়,এই ব্যাপারে ২রা মার্চ ব্রাম্মণবাড়িয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেটের আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।যার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।অভিযোগের সূত্রে জানা যায়,গত ১লা মার্চ তারিখে উক্ত সবুজ ৫/৬জন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধে জেরে রোজিনা এবং তার পরিবরিকে আক্রমণ করে। সেই আক্রমনে রোজিনা এবং তার মা আহত হয়ে ব্রাম্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। থানায় মামলা করেতে গেলে তাদের বসিয়ে রেখে মামালা নেওয়া হয়নি বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করে।আমাদের প্রতিনিধি নবীনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে ফোন করলে,তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রশ্ন করেন তার নাম্বার কার কাছ থেকে আমাদের প্রতিনিধি পেয়েছেন।কিন্তু উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে রোজিনার অভিযোগ সম্পর্কে বিষয়টি জানতে চাইলে এই জানাচ্ছি,খুচ্ছি,জানাব এই ধরণের রহস্যজনক কথা-বার্তা বলতে থকেন।এই রিপোর্ট লেখা চলাকালীন সময় অব্দি ‘জানাচ্ছি’ শব্দের কোন সূরাহা পাওয়া গেলনা।
এই নবীনগর থানায় মামলা না নেওয়ার অবহেলার ফলে পরেরে দিন সকালে পুন:রায় সবুজ এবং বাড়াটে সন্ত্রাসীরা আরেক দফা হামলা করে বলে জানা যায়।এই হামলায় রোজিনার বোন লাভলিকে শ্লীলতাহানী চেষ্টা করা হয় বলে জানা গেছে। এই বিষয়ের উপর নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।এই রিপোর্ট লিখা সময় অব্দি নিখোজ হওয়া রাব্বির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এই সবুজ মিয়া পিতা আব্দুল আজিজ,মূলত: আগে থেকেই সন্ত্রাসী প্রকৃতির।তার নামে গ্রামে নানান অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এক সময় সে গ্রামবাসির চাপে দেশ ত্যাগ করে বিদেশে চলে যায়।সুবিধামত সময়ে দেশে ফিরে এই রোজিনা এবং তার পরিপারকে আক্রমণ করে বলে সূত্র জানায়।