আবারো বাড়তে পারে ফেনী-কুমিল্লার বন্যার পানি
স্মরণকালের ভয়াবহ বানের ব্যাথা না সারতে সারতে ফেনী, কুমিল্লাসহ পুরো চট্টগ্রামে ফের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আগামী তিন দিনেই ভাসতে পারে সেসব এলাকার নিম্নাঞ্চল।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরির পানি সমতল বাড়ছে। অন্যদিকে গোমতী নদীর পানি সমতল কমছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বাড়তে পারে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে ।
অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল ধীর গতিতে কমছে, যা আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল ধীর গতিতে কমছে, যা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুইদিন পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল ধীরগতিতে কমছে। আগামী দু’দিন পর্যন্ত এসব নদীর পানি সমতল ধীরগতিতে কমতে পারে এবং পরবর্তী এক দিনে পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এ ছাড়া সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারাসহ অন্যান্য প্রধান নদী- মনু, সারিগোয়াইন, ধলাই, খোয়াই ইত্যাদির পানি সমতল
কমছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী তিন দিন বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল বাড়তে পারে।