তীব্রতাপ দাহে অতিষ্ঠ নরসিংদীর জনজীবন
তীব্র তাপদাহ আর অতিষ্ঠ গরমে নরসিংদী শহর বাসী ও গ্রামীণ জনজীবন।
প্রচন্ড তাপ মাত্রার কারনে বেশ কিছুদিন যাবত তাপদাহের কবলে পুড়ছে নরসিংদী শহর অঞ্চলের মানুষগুলো। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবন ওষ্ঠাগত।
বৈশাখ মাস পড়লেও গত কয়েকদিন যাবত বৃষ্টির না হওয়ায় প্রচন্ড খরতাপে ঘর থেকে বের হতে হিমশীম খাচ্ছে শ্রমিক দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছাঁয়াতলে। অ
অতিরিক্ত গরমে শরীরকে একটু শীতল করতে বিভিন্ন শরবত ও ঠান্ডা পানীয়র খোঁজে তৃষ্ণার্ত মানুষ ব্যাকুল হয়ে ছুটছে।
এ তাপদাহ আরো কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। নরসিংদী জেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮/৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। গ্রীষ্মের এই তাপদাহ মানুষের মধ্যে তৈরি করেছে ব্যাপক অস্বস্তি। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষসহ সকল প্রাণী! গরম আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের দম যাই যাই অবস্থা।একটু শীতল পরশ ও ঠান্ডা পানির জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ।
দিনমুজুর কালাম জানায়, আমি একজন দিন মুজুর মানুষের বাসায় কাজ করি বর্তমানে কিছু কিছু স্থানে ধান কাটার কাজ চলছে কিন্তু প্রচন্ড রোদ আর ভেপসা গরমে মাঠে টিকে থাকা দায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
ভ্যান চালক আলমগীর জানায় আগে প্রতিদিন যদিও ৪০০-৫০০টাকা ইনকাম হতো প্রচন্ড গরমে যাত্রীরা ভ্যানে চড়তে চায় না তাই আগের তুলনায় ভাড়া কম হয়, যা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পল্লী চিকিৎসক ডা:আকতারুল ইসলাম জানান, এই ভেপসা গরমে সাধারণত ছোট বড় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে, সাধারণত জ্বর সর্দি কাশি,ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাই এসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ পানি,জুস,আখের রস, ডাবের পানি পান করতে হবে।